২০২৩ সালের জন্য ১৫টি নতুন ব্যবসায়িক আইডিয়া

২০২৩ সালে এসে আপনি কি বেকার ঘুরচ্ছেন! লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া খুজচ্ছেন-তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই।নিচে আমি ১৫টি ব্যবসায়িক আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করবো।
Also Read

২০২৩ সালে এসে আপনি কি বেকার ঘুরচ্ছেন! লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া খুজচ্ছেন- তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই।নিচে আমি ১৫টি ব্যবসায়িক আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করবো।এখান থেকে আপনি নিজের পছন্দের আইডিয়া নিয়ে সামনে এগোতে পারবেন। 

আমাদের চারপাশে অনেক ছোট বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে।কিন্তু তা দেখে তারপরেও নিজের ভিতরে ব্যবসায়িক আইডিয়া আনতে পারি না।

তবে হাজারও ব্যবসা থেকে আমি সব থেকে লাভজনক উপযোগী কয়েকটা ব্যবসার সাথে আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিবো।

তাই কথা বেশি না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।


২০২৩ সালের জন্য ১৫টি নতুন ব্যবসায়িক আইডিয়া
২০২৩ সালের জন্য ১৫টি নতুন ব্যবসায়িক আইডিয়া


১.ফাস্টফুডের ব্যবসা

কম খরচে ফাস্টফুডের ব্যবসা সব থেকে লাভজনক হিসেবে পরিচিত।আপনি ছোট করে একটি ফাস্টফুডের দোকান দিয়ে অল্পতেই লাভের মুখ দেখতে পারবেন।

তবে এক্ষেত্রে এই ব্যবসাটা অবশ্যই শহরকেন্দ্রিক করতে হবে।কারন গ্রামের থেকে অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে শহরে।

একটি দোকান নিতে এডভান্স  আছে,ভাড়া আছে, ডেকোরেশন আছে, চেয়ার টেবিলের জামেলা আছে আরও কত কি?কিন্তু আমার সামার্থ্য কম। 

চিন্তা করার কিছু নেই আপনি দোকান ছাড়াও ফাস্টফুডের ব্যবসা করতে পারবেন।হ্যা,ভ্যানগাড়িতে করেও আপনি আপনার ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন।

মিস্ত্রি দিয়ে একটু আয়না ওয়না লাগিয়ে সাধারণ একটি ভ্যানগাড়িতে করেও ব্যবসা করতে পারবেন।

ভাম্যমাণ ফাস্টফুড দোকানের একটা ইন্টারেসটিং ব্যপার হলো দোকান আপনি যেখানে সেখানে নিয়ে যেতে পারবেন।

তবে যেকোনো জনবহুল শহরের একটি নিদিষ্ট স্থানে থাকা উচিত। 



আপনার জন্য আরোও কিছু প্রয়োজনীয় পোস্টঃ-

মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম

স্ত্রীর জন্মদিনের উপহার দেওয়ার ৫০টি ইউনিক আইডিয়া


২.ভাতের হোটেলের ব্যবসা

ভাতের হোটেলের ব্যবসা অন্যতম লাভজনক একটি ব্যবসা।গ্রাম অথবা শহরের যেকোনো স্থানে আপনি ভাতের হোটেল দিতে পারেন।
তবে অবশ্যই জনবহুল স্থানে হোটেল দিতে হবে।এটা হতে পারে বিভিন্ন হসপিটাল, ক্লিনিকের সামনে অথবা কলকারখানা, গার্মেন্টস, ইত্যাদি কর্মসংস্থান বা ব্যস্তো স্থানে।

আপনি ভাতের হোটেল বাসস্ট্যান্ড বা ট্রাক স্ট্যান্ড এর সামনেও দিতে পারেন।কারন এই সকল স্থানের স্টাপদের ৩ বেলাই খাবারের চাহিদা রয়েছে।


৩.রেস্টুরেন্ট এর ব্যবসা

যদি আপনার কাছে মোটা অংকের পুঁজি থাকে তাহলে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।কারন রেস্টুরেন্টের ব্যবসা অধিক লাভজনক। 
এমনিতেই খাবারের ব্যবসাতে কোনো লস নেই।তার মধ্যে যদি রেস্টুরেন্টের ব্যবসা দেন তাহলে তো আর পিছে তাকাতে হবে না।
খুব জনবহুল এলাকায় বড় পরিসরে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।কারন রেস্টুরেন্টে অধিকাংশই এলিট শ্রেনির মানুষ আসে।
তাই খাবারের দাম যাই হোক চিন্তায় থাকতে হয় না।


৪.বেকারির ব্যবসা

খাবারের ব্যবসার মধ্যে আরেকটি লাভজনক ব্যবসা হলো বেকারির ব্যবসা।বেকারির ব্যবসার উপাদান তো আপনি অবশ্যই জানেন।রুটি,কেক,বিস্কুট,টোস্ট ইত্যাদি সুস্বাদুকর খাবার নিয়ে বেকারির ব্যবসা।
আপনি নিজের বেকারিতে বসেই বিক্রির কাজ করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি বিভিন্ন এলাকায় থাকা দোকানগুলোতে নিজের বেকারির তৈরি করা মালও সরবরাহ করতে পারেন।
যে বিষয় না বল্লেই নয় বেকারির ব্যবসা কিন্তু কমপুঁজির নয়।অবশ্যই কমপক্ষে ৫-৬ লাখ টাকা হাতে নিয়ে নামতে হবে।


৫.বিরিয়ানির ব্যবসার আইডিয়া 

আপনার অল্প পুঁজি থাকলে এখনিই বিরিয়ানির ব্যবসা নিয়ে শুরু করুন।কারন বিরিয়ানির আইটেম একটা তাই কোনো জামেলা ছাড়াই এই ব্যবসা করা যায়।
অল্প পুঁজির এই ব্যবসাটি অধিক লাভজনক। আর তাছাড়ও নিত্যদিনে বিরিয়ানির অনেক চাহিদা রয়েছে।


৬.কফিশপ করে ইনকাম

বর্তমানে সব থেকে স্মার্ট ব্যবসার মধ্যে কফিশপের ব্যবসা অন্যতম।এটা যেমন স্মার্ট ব্যবসা ঠিক তেমনি অধিক লাভজনকও বটে।
এই ব্যবসা করতে হলে প্রথমে জনবহুল ভালো একটা পজিশন নিতে হবে।এরপর একটা কফি মেশিন কিনতে হবে।আনুমানিক একটি কফি মেশিনের দাম ৩০ হাজার টাকার মতো নিবে।এটা দিয়ে আপনি কফির পাশাপাশি চাও তৈরি করতে পারবেন।
দোকান এডভান্স বাদে মোট ৬০ হাজার টাকা লাগতে পারে আপনার।


০৭.ফুটপাতে পেন্ট শার্ট গেঞ্জি ইত্যাদি বিক্রি 

আপনি জনবহুল ফুটপাতে বসে এই ব্যবসাটা শুরু করতে পারেন।গার্মেন্টস এর অনেক রিজেক্ট মাল আছে যেগুলো খুব কম দামে বিক্রি করে।
আপনি সেই রিজেক্ট মালগুলো পাইকারি মূল্যে কিনে নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।আপনি যেকোনো অলিতে-গলিতে এই ব্যবসা করতে পারবেন।
একদম অল্প পুঁজিতে এই ব্যবসাটা শুরা করা যায়।এটা সত্যি খুব লাভজনক ব্যবসা।তাই এই ব্যবসাটা আপনার পছন্দের তালিকায় থাকা উত্তম।


০৮.কসমেটিক এর দোকান

কসমেটিক এর দোকান সত্যি খুব লাভজনক একটি ব্যবসায়িক আইডিয়া। আমার খুব পছন্দের একটি ব্যবসা।
এই ব্যবসাতে আমার নিজেরও কিছুটা এক্সপেরিয়েন্স আছ।

আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন অনেকে কাচের বিটকেস টাইপের ব্যাগে করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কসমেটিক বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে।
আপনার ৮-১০ হাজার টাকা হাতে থাকলেই এই অধিক লাভজনক ব্যবসাটা শুরু করতে পারেন।মনে রাখবেন মেয়ে কেন্দ্রিক জিনিসপত্রের চাহিদা সব থেকে বেশি।
এছাড়াও আপনি নিজে একটি দোকান নিয়ে সেখানে কসমেটিকও বিক্রি করতে পারেন।
খুব দ্রুত সফল হতে কসমেটিক ব্যবসা এর জুরি নেই।


০৯.ফার্মেসী বা ঔষধের দোকান

বর্তমানে কসমেটিক আর ঔষধের দোকানের মতো লাভজনক ব্যবসা খুব কমই আছে।একটা কথা মনে রাখবেন ঔষধ আর কসমেটিক এর গোমর বুজা মুসকিল। 
ঔষধের ব্যবসা অধিক লাভজনক হওয়ায় এখন অধিকাংশ মানুষ এই ব্যবসার দিকে ঝুঁকে পড়চ্ছে।
যেকোনো হসপিটাল,ক্লিনিক বা জনবহুল জায়গায় ঔষধের দোকান দেওয়া উচিত। অন্যসব ব্যবসার মতো অবশ্যই ঔষধের ব্যবসা করতে হলে ভালো পজিশন দরকার।
তবে এই ব্যবসা করতে হলে কমপক্ষে ১০-১৫ লাখ টাকা নিয়ে নামতে হয়।কিন্তু গ্রামে ১ লাখ টাকার উপরে লাগে না।



১০.বিকাশ ফ্লেক্সিলোডের দোকান

বিকাশ ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা অন্যতম লাভজনক একটি ব্যবসা।এই ব্যবসা আপনি যেকোনো স্থানে দিবেন সেখানেই চলবে।
ফ্লেক্সিলোডের দোকান দিতে হলে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে নামতে হবে।
আপনি এখানে প্রতি ১ হাজার মোবাইল রিচার্জে ২৮ টাকা করে পাবেন।এছাড়াও পাওয়ার লোডের অফার থাকে যেমন ১০৮ টাকা রিচার্জ করলে ১০ টাকা ক্যাশব্যাক।৫৬০ টাকা রিচার্জে ১২০ টাকা বা ২০০ টাকা ক্যাশব্যাক।
পাওয়ার লোডের অফার প্রতিনিয়ত চেঞ্জ হয়।তাই অফার গুলো ভালো করে দেখে নিবেন।
আবার যদি সাথে বিকাশ নগদ রাখতে চান তাহলে হাতে কমপক্ষে লোডের ৫০ হাজার+বিকাশ নগদের জন্য ২-৩ লাখ টাকা নিয়ে নামতে হবে।


১১.পুরাতন বইয়ের দোকানের আইডিয়া

আপনি এই ব্যবসাটাকে যেমনিই ধরুন না কেনো ব্যবসাটা খুবই লাভজনক। পুরাতন গল্প, উপন্যাস থেকে শুরু করে পাঠ্যবই, গাইড বই ইত্যাদির প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
 দারিদ্র্যতার কারনে অনেকেই নতুন বই কিনতে পারে না। যার কারনে গরিব শিক্ষার্থীরা পুরাতন বই কিনে।
আপনি কেজি মুলে বই কিনে সেটা গায়ের রেটের থেকে কিছুটা কমে বিক্রি করতে পারেন।



১২.জুতার দোকানের আইডিয়া 

জুতার দোকানের ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা।যেটি গ্রাম শহরে উভয় স্থানেই দেওয়া যায়।
আপনি খুব কম পুঁজিতে এই ব্যবসাটা করতে পারেন।
এছাড়াও নিজের জুতার মেশিন কিনে জুতা বানিয়ে বিভিন্ন দোকান শপে সরবরাহ করতে পারেন।
তবে জুতা যত স্মার্ট আর দামি হবে ততই লাভ থাকবে।


১৩.সেলুনের দোকান

সেলুনের দোকান অতন্ত্য লাভজনক পেশা।এটা সম্পর্কে আমার থেকে ভালো আপনিই জানেন।
সাধারণ একটি সেলুনে চুল কাটলেই ৭০ টাকা কিন্তু তার এক টাকাও খরচ হলো না।শুধু একটু কারেন্ট খাইসে।
সেভ করলে ৬০ টাকা। এখানে মাত্র ১০ টাকা খরচ হয়েছে
তবে আপনার যদি ভিআইপি সেলুন থাকে তাহলে তো কথাই নাই।লাভের উপরেও ১০ গুণ লাভ।


১৪.পার্লারের ব্যবসা

আমি আগেই বলেছি মেয়ে সম্বলিত যেকোনো কিছুই লাভজনক। আর পার্লার যেহেতু মেয়েদের জন্য সেখানে তো অবশ্যই লাভ থাকবে।
তবে বর্তমানে পুরুষদেরও জেন্টস পার্লার আছে।
হালকা কিছু হাতের কাজ দিয়ে ৩-২০ হাজার টাকা কামানোর নামই পার্লার।


১৫.প্রোডাক্ট বিক্রি করে ইনকাম 

ধরুন আমি হলাম আম ব্যবসায়ি। এখন আমের কেজি চলে ১২০ টাকা।কিন্তু আপনি যদি আমার আম বিক্রি করে দিতে পারেন প্রতি কেজি আম আপনার কাছ থেকে ৯০ টাকা করে রাখলাম।
মাজখানে আমারও লাভ হলো আপনিও কোনো মূলধন ছাড়াই ইনকাম করলেন।
আমার পরিচিত এমন অনেকেই আছে যারা বিভিন্ন মানুষদের দিয়ে প্রডাক্ট বিক্রি করায়।
বিশ্বাস করেন আপনার যদি ফেসবুক মোটামুটি ভালো ফ্যান ফলোয়ার অথবা পরিচিত মানুষ থাকে তাহলে মাসে কমপক্ষে  ২৫-৩০ হাজার টাকার মতো ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যদি প্রডাক্ট বিক্রি করে মাসে মোটা অঙ্কের টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানান।আমি সাহায্য করবো। 



আমাদের শেষ কথা

উপরের মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবসা নিয়ে শুরু করতে পারেন।শুধু নিজের উপর আস্থা, ধৈর্য রাখবেন।পরিশ্রম করবেন অবশ্যই সফল হবেন।
এছাড়াও আমাদের চারপাশে ব্যবসা করার জন্য আরো অনেক আইডিয়া আছে।আপনি শুধু চারদিকে তাকান মানুষজন কে কি করচ্ছে।একটু ভাবলেই সুন্দর আইডিয়া পেয়ে যাবেন।

Post a Comment

সর্বশেষ আপডেট পেতে গুগল নিউজে ফলো করুন ⬇⬇
follow Q2Ans on google news
Ads
© Ans-Q.com. All rights reserved. Distributed by Tu